হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি সরকার বাংলাদেশের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজ সেবাদানকারী কোম্পানি নির্বাচন, তাঁবুর এলাকা সংরক্ষণ, মক্কা ও মদিনায় হোটেল ভাড়া এবং ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করার সময়সীমা থাকলেও এসব কাজ এখনও শুরু হয়নি। এর ফলে সৌদি সরকার বারবার বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও তারা তাতে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে হজ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি আরও জানান, সৌদি সরকার বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য সেবাদানকারী কোম্পানি নির্বাচন, তাঁবুর এলাকা সংরক্ষণ, মক্কা ও মদিনায় হোটেল ভাড়া, ক্যাটারিং কোম্পানির সাথে চুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো এখনও শুরু করেনি। এরমধ্যে, সৌদি সরকারের প্রতি বারবার অনুরোধ করার পরও তাদের কোন আশ্বাস পাওয়া যায়নি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, "হজ এজেন্সিগুলিকে অনুরোধ জানাচ্ছি যেন তারা হজযাত্রীদের কোনো ধরনের সংকট বা অনিশ্চয়তার মধ্যে না ফেলেন। আমি আশা করি, তারা দ্রুত সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।"
তিনি আরও জানান, সৌদি সরকার গত বছর হজ এজেন্সির কোটা ২ হাজার থেকে এক হাজার নির্ধারণ করেছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া, গত বছর ৬৯৫টি হজ এজেন্সি থেকে ২৫৯টি লিড এজেন্সির মাধ্যমে পরিচালিত হলেও এবার ৭৫৩টি হজ এজেন্সি নিবন্ধিত হয়েছে, যার মধ্যে ১৩৪টি লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রীরা পরিচালিত হবে।
তিনি হজ খরচ কমানোর বিষয়ে বলেন, "বিমান ভাড়া কমানোর জন্য আমি গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছি, কিন্তু বিমান মন্ত্রণালয় তা নাকচ করেছে। তাই আপাতত হজের খরচ কমানোর কোনো সুযোগ নেই।"
এদিকে, চলতি বছরে হজে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন নিবন্ধন করেছেন, যার মধ্যে ৫,২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১,৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন।